দৌড়ানোর উপকারিতা : ফিট থাকতে প্রতিদিন দৌড়ান। দৌড়ানোর সঠিক সময়

শরীরচর্চার বিভিন্ন ধাপের মধ্যে দৌড়ানো কিন্তু উল্লেখযোগ্য উপকার সাধন করে আমাদের শরীরের জন্য।
দৌড়ানো বলতে খুব বেশি বেগ নিয়ে দৌড়ানোর কথা বলছিনা। শরীরের উপকারিতার জন্য আমাদেরকে নির্দিষ্ট নিয়মে দৌড়াতে হবে।
বন্ধুরা, দৈনন্দিন অন্ততপক্ষে ৩০মিনিট দৌড়ানোর অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।

আমদের জীবনে দৌড়ানোর উপকারিতাঃ

প্রতিদিন নিয়ম মেনে দৌড়াতে পারলে আমাদের শরীরের ওজন অনেকটা কমে যায়।

অতিরিক্ত মেদ কমাতে দৌড়ানোর উপকারিতাঃ

অতিরিক্ত মেদ আমাদের শরীরের সৌন্দর্য নষ্ট করে ফেলে। এছাড়া অতিরিক্ত মেদ আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি করে। তাই সকল ধরনের রোগ থেকে আমাদের শরীরকে বাঁচাতে এবং শরীরকে ফিট ও সুদর্শন রাখতে আমাদের উচিত বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলা। আর এজন্য নিয়ম মেনে দৌড়ানো অনেক ভালো একটি উপায়।

রক্তের সার্কুলেশন ভালো রাখতে দৌড়ানোর প্রয়োজনীয়তাঃ

প্রতিদিন সকালবেলা নিয়ম মেনে যদি আমরা দৌড়াতে পারি, তাহলে আমাদের শরীর অনেক চাঙ্গা হয়ে ওঠে। শরীরে রক্তের সার্কুলেশন ভালো থাকে।কাজের উদ্দীপনা বাড়ে। মানসিক অবসাদ দূর হয়।

মেরুদন্ডের সমস্যা ও বাতের সমস্যা সমাধানে দৌড়ানোর ভুমিকাঃ

মেরুদন্ড এবং বাতের সমস্যা প্রায় সবারই এখন দেখা যায়। একটু বয়স বাড়ার সাথে সাথে বা একটু নিচু হয়ে কাজ করতে গেলেই এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। কিন্তু যারা নিয়ম মেনে যারা প্রতিদিন দৌড়ায় তাদের এ ধরনের সমস্যা হয় না।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে মেরুদন্ডের হাড় ক্ষয় হয়। কিন্তু নিয়মিত দৌড়ালে মেরুদন্ড অনেক বেশি শক্তিশালী হয়। মেরুদন্ড থেকে রক্ত উৎপাদন করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

মানসিক অবসাদ দূর করতে দৌড়ানোর ভূমিকাঃ

নিয়ম মেনে দৌড়াতে পারলে আমাদের শরীর, মন যেমন ভালো থাকে, তার পাশাপাশি আমাদের ত্বক ও কিন্তু ভাল থাকে।

ত্বকের যত্নে দৌড়ানোর উপকারিতাঃ

নিয়মিত দৌড়ালে ত্বকের নিচে থাকা টিস্যু বা কলা গুলো খুব বেশি সন্নিবেশিত হয় এবং অনেক ভাল থাকে। এতে করে বয়সের সাথে সাথে আমাদের চামড়া ঝুলে পড়ে না। আমাদের চামড়া অনেক বেশি টানটান থাকে এবং শরীরের রক্ত সঞ্চালন ক্রিয়া ভালো হওয়ার কারণে ত্বক অনেক বেশি সুস্থ দেখায় এবং চেহারা অনেক বেশি লাবণ্যময়ী হয়।
অর্থাৎ সর্বোপরি বলতে গেলে চেহারার সৌন্দর্য ধরে রেখে শরীরকে সুন্দর দেখাতে প্রতিদিন নিয়ম মেনে দৌড়ানো উচিত।

ছেলে বা মেয়েদের বয়সন্ধিকালে দৌড়ানোর উপকারিতাঃ

ছেলে বা মেয়েদের বয়সন্ধিকাল যখন চলে অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গভাবে দৈহিক বৃদ্ধি যখন ঘটে, তখন দৌড়ানোর অভ্যাসটি নিয়ম মেনে করা উচিত। কারণ এই সময় শরীরের দৈহিক বৃদ্ধি যথাযথভাবে হয়।
দৌড়ানোর মধ্য দিয়ে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের প্রসারণ সঠিকভাবে হয়। এতে করে আমাদের শরীরের দৈহিক বৃদ্ধি, শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি সঠিকভাবে হয়।

দৌড়ানোর মধ্য দিয়া স্ট্রোক করার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়ঃ

গবেষণার মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত যে নিয়মিত দৌড়ানোর অভ্যাস যাদের রয়েছে তাদের হার্ট স্ট্রোক করার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। তাই নিয়মিত হাঁটার বা দৌড়ানোর অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দৌড়ানোর উপকারিতাঃ

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দৌড়ানোর এই অভ্যাসটি কিন্তু ওষুধের মতো কাজ করে থাকে। ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট ফলো করুক বা না করুক না কেনো প্রতিদিন দৌড়ানোর এই অভ্যাসটা কিন্তু তাদের রুটিনে রাখা উচিত। কারণ এটি ব্লাড সুগার লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ইনসুলিনের মাত্রা কে সঠিকভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে।

নোটঃ

এক্ষেত্রে একটি বিষয় বলে রাখা ভালো সেটি হল মেয়েদের পিরিয়ড কালীন সময়ে এক্সেসাইজ একটু কম করাই ভালো
তাহলে বন্ধুরা আপনারা বুঝতেই পারছেন দৌড়ানো প্রত্যেকটা মানুষের জন্য কতটা জরুরী এবং গুরুত্বপূর্ণ।

তাই আমাদের সবারই উচিত প্রতিদিন অন্তত পক্ষে আধাঘন্টা নিয়ম মেনে দৌড়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলা।

Leave a Comment