গ্লুকোজ এর উপকারিতা : গ্লুকোজ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আজ একটি চমৎকার ও বিজ্ঞানসম্মত বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি, বিষয়টি হল গ্লুকোজ এর উপকারিতা।
আমরা সবাই জানি গ্লুকোজ খেলে শর্করা বেশি উৎপাদিত হয় এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্বোহাইড্রেট জাতীয় উপাদান। এটি রাসায়নিক উপাদান শর্করা বা মনোস্যাকারাইড এর অন্তর্ভুক্ত।

আমাদের জীবনে গ্লুকোজের উপকারিতাঃ

জীবন্ত কোষ গ্লুকোজকে শক্তির বিপাকীয় প্রক্রিয়ার একটি উৎস হিসাবে ব্যবহার করে থাকে।
শরীরের জন্য উপকারী এই গ্লুকোজ আমাদের জন্য কি কি উপকার করতে পারে তা যদি আপনারা জানতে চান তাহলে লিখাটি শেষ পর্যন্ত একবার পড়ুন।

আইবিএস এর সমস্যা সমাধানে গ্লুকোজের ভূমিকাঃ

যাদের শরীরে আইবিএস এর সমস্যা পাওয়া যায় তাদের কে ডাক্তারেরা বেশি বেশি গ্লুকোজ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। কারন সাধারণত এই সময় শরীরে পানি স্বল্পতা দেখা দেয়। তাই এই সময় ডাক্তারেরা গ্লুকোজ পান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
গ্লুকোজ প্রাণী ও উদ্ভিদ কোষের শ্বাসক্রিয়ার অন্যতম অপরিহার্য উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

তাই আমাদের খাদ্য তালিকায় গ্লুকোজের উপস্থিতি অবশ্যই রাখা দরকার আমাদের শ্বাসক্রিয়ার কার্যকারিতাকে স্বাভাবিক রাখতে হলে। তিন নাম্বার

শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে গ্লুকোজের প্রয়োজনীয়তাঃ

আমাদের শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে হলে প্রতিদিন যে খাবার খায় তার শতকরা ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ শর্করা রাখা উচিত। কিন্তু শর্করার প্রধান উৎস হিসেবে আমরা ভাত খায়।
যে সকল শর্করা জাতীয় খাবার রক্তে যত তাড়াতাড়ি মিশে যায়,এ ধরনের শর্করা জাতীয় খাবার শরীরের জন্য তত বেশী বিপদজনক। তাই বলতে গেলে আমরা যে ভাত খাচ্ছি তার প্রভাবে আমাদের শরীরের ক্ষতি করতে পারে।
তাই এমন ধরনের শর্করা আমাদের গ্রহণ করা উচিত, যা আমাদের শরীরে শর্করার অভাব পূরণ করার পাশাপাশি আমাদের শরীর কখনো খারাপ সাইডিফেক্ট আসবে না। এক্ষেত্রে গ্লুকোজ কিন্তু দারুণ ভাবে কাজ করে থাকে।
কারণ শর্করা হিসাবে গ্লুকোজ যদি আমরা গ্রহণ করে থাকি তার রক্তে তাৎক্ষণিকভাবে গ্লুকোজ এর চাহিদাকে পূরণ করে।
উদ্ভিদ এবং প্রাণীরটিস্যুর গঠনের উপাদান হিসেবে গ্লুকোজের উপকারিতাঃ
গ্লুকোজ উদ্ভিদ এবং প্রাণী ও উভয়য়ের টিস্যুর গঠনের উপাদান হিসেবে কাজ করে থাকে। অর্থাৎ আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের কলা বা টিস্যুর গঠন ঠিক রাখতে গ্লুকোজ কিন্তু দারুণ ভাবে কাজ করে থাকে।

রমজানে ইনস্ট্যান্ট এনার্জি পেতে গ্লকোজের উপকারিতাঃ

রোজা রাখার পর আমাদের কর্ম উদ্দীপনা যখন একেবারে হারিয়ে যায় তখন ইফতারির সময় এক গ্লাস পানিতে ২ থেকে ৩ টেবিল-চামচ গ্লুকোজ পাউডার নিয়ে ভালো মতো মিশিয়ে যদি আমরা পান করি তাহলে আমাদের শরীর খুব দ্রুত চাঙ্গা হয়ে ওঠে এবং কাজ করার উদ্দীপনা আমরা ফিরে পায়। কারণ গ্লুকোজ খুব দ্রুত রক্তের সাথে মিশে কর্মশক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে।
সতর্কতাঃ একটি বিষয় মনে রাখা উচিত গ্লুকোজ সবার জন্য ভালো। একটা হার্টের রোগী থেকে শুরু করে আইবিএস এর সমস্যায় যারা ভুগছেন সবাই কমবেশি গ্লুকোজ খেতে পারেন। কিন্তু যারা ডায়াবেটিস এর মতো সমস্যায় ভুগছেন তাদের কিন্তু গ্লুকোজ খাওয়া বারণ। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

শিশুদের ক্ষেত্রে গ্লুকোজের চাহিদাঃ

সকল ছোট বাচ্চারা খাবার খেতে চায় না অর্থাৎ তাদের শরীরে দৈনিন্দিন শর্করার অভাব থেকে যায়। তাদের ক্ষেত্রে গ্লুকোজ কিন্তু দারুন একটি পরিপূরক খাবার হিসাবে কাজ করে। তাই মায়েদের উচিত ছোট বাচ্চাদের খাদ্যতালিকায় ভাতের পরিবর্তে গ্লুকোজ রাখা। এতে করে শর্করার অভাব পূরণ হবার পাশাপাশি শিশুদের মুখের রুচি বৃদ্ধি পায়।
আমাদের উচিত আমাদের খাদ্য তালিকায় এমন সব খাবারকে অন্তর্ভুক্ত করা যে খাবারগুলো অনেক বেশি হেভি হবে না, কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন খাবারের পুষ্টি উপাদান খুব সহজে মেটাতে সক্ষম হবে।

Leave a Comment