গরুর মগজ খাওয়ার উপকারিতা

আমরা অনেকেই গরুর মগজ রান্না করে খেতে পচন্দ করি। এটি খেতে এত বেশি স্বাদ লাগে যে আমরা এটি বারবার খেতে চাই। কিন্তু আমরা আদৌ জানিনা এই গরুর মগজ খাওয়া আমাদের জন্য উপকারী কিনা????

গরুর মগজের উপকারিতাঃ

গরুর মগজ আমাদের শরীরের জন্য কতটা কার্যকরী তা আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না। তাই আজ আমি আপনাদের সাথে গরুর মগজের উপকারিতা নিয়ে কিছু কথা বলতে যাচ্ছি।

ভিটামিন হিসাবে গরুর মগজের গুরুত্বঃ

গরুর মগজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম এবং আয়রন রয়েছে। এতে ভিটামিন বি টুয়েলভ রয়েছে যা আমাদের মস্তিষ্কের উন্নতি সাধন করতে সহায়তা করে। গরুর মগজ খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলো অনেক উজ্জ্বীবিত হয় এবং উন্নত মস্তিষ্কের অধিকারী করে।
তাহলে বন্ধুরা আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে গরুর মগজের কতটুকু ভূমিকা রয়েছে তা আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।

শরীরের সুষ্ঠ বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে গরুর মগজের উপকারিতাঃ

শরীরের সুষ্ঠ বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে অর্থাৎ দেহের গঠন এবং পুষ্টি সাধনের পাশাপাশি দৈহিক বৃদ্ধি স্বাভাবিক রাখতে গরুর মগজ কিন্তু দারুণ ভাবে কাজ করে থাকে। এজন্য বয়সন্ধিকাল চলাকালীন সময়ে অথবা বাচ্চা শিশুদের বাড়ন্ত বয়সে শিশুদেরকে প্রচুর পরিমাণে গরুর মগজ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এতে করে শিশুদের দৈহিক ও মানসিক বিকাশ ত্বরান্বিত হয়।

নখ, চুল এবং হাড়ের বৃদ্ধি তরান্বিত করতে গরুর মগজের কাজঃ

নখ, চুল এবং হাড়ের যথাযথ বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে গরুর মগজ দারুণ কাজ করে থাকে। আমাদের চুলকে গোড়া থেকে শক্ত করতে হাত এবং পায়ের নখ শক্ত রাখতে এর পাশাপাশি আমাদের দাঁত ও হাড় কে শক্তিশালী রাখতে গরুর মগজ খুব বেশি ভূমিকা পালন করে থাকে।

চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে গরুর মগজের উপকারিতাঃ

চোখের দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে দৃষ্টি শক্তির উপর দিয়ে একটা বিরূপ প্রভাব পড়ে তা থেকে আমাদের দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে গরুর মগজ কিন্তু খুব বেশি উপযোগী।

তাই যাদের চোখে সমস্যা আছে বা হবার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের উচিত খাদ্যতালিকায় নিয়ম মেনে গরুর মগজ রাখা। এতে আমাদের দৃষ্টিশক্তি সমস্যার সমাধান হয়ে যায় এবং ভবিষ্যতে দৃষ্টিশক্তির সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার প্রবণতা কমে যায়।

ব্যথার সমস্যা দূরীকরণে গরুর মগজের কৃতিত্বঃ

গরুর মগজে থাকা ক্যালসিয়াম আমাদের শরীর শক্ত, সামর্থ্য রাখে। এটি খাওয়ার ফলে বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের হাড়ের শক্তি বজায় থাকে এবং যেকোনো ধরনের ভারী জিনিস ওঠানামা করতে সমস্যা হয় না এবং দীর্ঘক্ষন কাজ করার পরেও আমাদের আর দুর্বল লাগেনা।

ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে গরুর মগজের উপকারিতাঃ

ডায়রিয়া চলাকালীন সময়ে গরম ভাত দিয়ে গরুর মগজ খেলে ডায়রিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় এবং ভবিষ্যতে ডায়রিয়া হবার প্রবণতাও কমে যায় যদি খাদ্যতালিকায় নিয়ম মেনে গরুর মগজ রাখা হয়।

রক্তস্বল্পতা দূর করতে গরুর মগজের উপকারিতাঃ

যারা রক্ত স্বল্পতায় ভুগছেন তাদের রক্তস্বল্পতা দূর করতে গরুর মগজ কিন্তু আরো বেশি কার্যকরী। এজন্য যারা রক্তস্বল্পতায় ভোগেন তাদের কে ডাক্তার বারবার করে বলেন খাদ্যতালিকায় বেশি আয়রন, ভিটামিন এবং প্রোটিন আছে এই ধরনের খাবার খাওয়ার জন্য আর এই জন্য উল্লেখযোগ্যভাবে নির্দেশ করে দেয় গরুর মগজ এর কথা।যা আমাদের শরীরের রক্ত স্বল্পতা পূরণ করতে খুব বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে।

তাহলে আজ আমরা জানতে পারলাম গরুর মগজ স্বাদে যেমন অতুলনীয়, খেতে যেমন ভালো লাগে, তেমনি আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী।

নোটঃ

যেহেতু গরুর মগজে খুব বেশি পরিমাণে চর্বি থাকে তাই হাই প্রেশার আছে এমন রোগীদের এটা না খাওয়াই ভালো।
তাই আমাদের উচিত যতটা সম্ভব গরুর মগজ সংগ্রহ করে খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে রাখা এবং উপরের উল্লেখিত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পাওয়ার জন্য চেষ্টা করা।

Leave a Comment