আপেলের ক্ষতিকর দিক ,ক্ষতিকর দিক এড়াতে এটি খাবার সাঠিক সময় ও সতর্কতা

যাচ্ছি আপেলের এমন কিছু অপকারিতা যা অতিমাত্রায় আপেল খেলে বা ব্যবহার করলে আপনাদের ক্ষতি হতে পারে।
বন্ধুরা আপনাদের সাথে আমি আপেলের অপকারিতাগুলো এজন্যই শেয়ার করছি , আপনারা এর অপকারিতা গুলো জেনে সঠিক মাত্রায় এটি গ্রহণ করে এর উপকারিতা গুলো পেতে পারেন।

তাহলে চলুন দেখে নিই আপেলের অপকারিতা গুলো কি কি

১। এলার্জির সমস্যা হতে পারেঃ

আমাদের একেক জনের একেক ধরনের খাবারে এলার্জি তাকে আপনাদের কারো যদি আপেল খেলে এলার্জি হয় তাহলে এই আপেল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন ।

কারন আপেলে যাদের এলার্জি থাকে তারা আপেল খাওয়ার ফলে আপনাদের এলার্জি গুলো বেড়ে যেতে পারে । যেমন আমবাত, পেটে ব্যাথা এবং বমি থেকে শুরু করে প্রাণঘাতী রোগ পর্যন্ত হতে পারে । তবে আপনারা যদি খোসা ছাড়াই আপেল খান তাহলে এই এলার্জির পরিমাণ অনেকটা কমে যাবে।

২। গ্যাসের সমস্যা বাড়াতে পারেঃ

যারা খুব বেশি ফাইবার খাওয়াতে অভ্যস্ত নয় তারা যদি হঠাৎ করে প্রতিদিন আপেল খাওয়া শুরু করে তাহলে তাদের গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে । তাই ডায়েটে হোক কিংবা প্রতিদিনের খাবারে ধীরে ধীরে আপেলকে যুক্ত করুন এবং আপেল ছাড়াও যদি আপনারা অন্যান্য ফাইবার যুক্ত খাবার খান তাহলে যেকোনো একটি ফাইবার যুক্ত খাবার রাখুন এটি আপনার হজম এর ক্ষেত্রে সহায়তা করবে এবং আপনাদের সাইড ইফেক্ট এর হাত থেকে রক্ষা করবে ।

৩। আপেলের বীজ শরীরে বিষ ক্রিয়া তৈরি করেঃ

আমরা যখন আপেল খাই তখন অনেকেই অসচেতনভাবে এর বীজ খেয়ে ফেলে । কিন্তু এই বীজ আমাদের শরীরে জন্য ক্ষতিকর । তাই আপেল খাওয়ার সময় আমাদেরকে মনে রাখতে হবে অসচেতন মনে যেন আমাদের পেটে বীজ চলে না যায় ।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যারা প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি আপেল খাওয়ার অভ্যাস রাখেন তারা যদি দুই থেকে তিনটা আপেলের বীজ খেয়ে পেলে তাহলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে । যেমন আপেলের বীজ পেটে গিয়ে সায়ানাইড তৈরি করে এবং শরীরের চিনির সঙ্গে মিশে হাইড্রোজেন সায়ানাইড এ পরিণত করে ।

আমরা অনেকেই জানিনা হাইড্রোজেন সায়ানাইড এর ফলে আমাদের মৃত্যু ঘটতে পারে তাই । তাই আপেল খাওয়ার সময় অত্যন্ত সতর্কতার সাথে খান এবং এটি খুব ভালো হয় আপেল খাবার পূর্বেই এর বীজগুলো যদি ফেলে দেওয়া ।

৪। গর্ভবতী ও বুকের দুধ খাওয়ান এমন মায়েদের ক্ষেত্রেঃ

গর্ভবতী ও বুকের দুধ খাওয়ান এমন মায়েদের ক্ষেত্রে আপেল খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত শুধু আপেলের ক্ষেত্রেই নয় যে কোন খাবারের আগে এমন মায়েদের খুব বেশি সাবধান থাকা উচিত।

৫। রাসায়নিক অথবা ফরমালিন হতে ক্ষতিঃ

আপেলকে দীর্ঘদিন তাজা রাখার জন্য অনেক সময় এর ওপরে বিভিন্ন রাসায়নিক অথবা ফরমালিন মেশানো থাকে তাই বাজার থেকে কিনে এনে সরাসরি আপেল খেলে শরীর ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন তাই আমাদের সবার উচিত বাজার থেকে আপেল কিনে এনে এটিকে তারপরে খাওয়া ।

আপেলের ক্ষতি থেকে বাচঁতে সঠিক সময়ে আপেলে খানঃ

আপেলের ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য কোন সময়ে বা কিভাবে আপেল খাওয়া উচিত? এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই জাগে।
বয়স অনুযায়ী আপেল খাওয়ার পরিমাণ বিভিন্ন রকম হতে পারে । একটি শিশুর বয়স যদি চার বছরের নিচে হয়ে থাকে তাহলে তার দের বাটি থেকে দুবা বাটি আপেল খাওয়া যথেষ্ট কিন্তু একজন প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে দিনে প্রায় 25 থেকে 30 গ্রাম মত ফাইবারের প্রয়োজন হয় এই ক্ষেত্রে অন্যান্য সবজি ও ফলের সাথে দুই থেকে তিনটি ছোট আপেল খাওয়া যায় । তবে আপেল যদি পরিমাণে অথবা আকারে বড় হয়ে থাকে তাহলে প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়া উচিত ।

আপেল খাওয়ার ক্ষতিকর দিক এড়াতে আরো কিছু সাবধানতাঃ

বাজারে যে আপেল গুলো বিক্রি করা হয় সেগুলো কে অনেকদিন সতেজ ঃবা তাজা রাখার জন্য নানা ধরনের কীটনাশক, ফরমালিন ও রং মেশানো হয়ে থাকে যা শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় ।

তাই বাজার থেকে আপেল কিনে আনলে কি এটি খাওয়ার পূর্বে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত সাবধানতাগুলো হলঃ-

১। বাজার থেকে টাটকা দেখে আপেল কিনে আনা এবং বাড়িতে কিনে এনে একটি ব্রাশের সাহায্যে খুব ভালোভাবে ঘষে পরিষ্কার করে নেওয়া।

২। আপেল পরিষ্কার করার জন্য সামান অথবা সাবান গুড়া ব্যবহার না করা।

৩। এক বোল পানির মধ্যে এক চামচ বেকিং সোডা দিয়ে তার মধ্যে আপেল 10 থেকে 15 মিনিট ভিজিয়ে রাখা।

৪। এছাড়াও আপেল যখন খাবেন আপনার সেটিকে পুরু খেতে পারেন অথবা কাস্টার্ড এবং ফ্রুট জুস করেও খেতে পারেন ।
তবে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন যখন এটিকে আস্ত খাওয়া যায় এটি যদি আপনারা চান তাহলে এর ক্ষতিকর দিক গুলো এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে ।

আপনারাতো আপেলের অপকারিতাগুলো জানলেন কিন্তু আপেলের অপকারিতা থাকলেও আপেলের অনেক বেশি উপকারিতা রয়েছে ।

তাই আপেলের অপকারিতা গুলো থাকলেও এর উপকারিতা দিক যেহেতু বেশি রয়েছে তাই আমাদের উচিত এর অপকারিতা গুলোকে এড়িয়ে চলে এর উপকারিতা গুলো কে গ্রহণ করা করার জন্যর আপেল এমন ভাবে খাবার সময় বিবেচনায় রাখা যে সময় খেলে এবং যে পরিমাণে আমি আপেল খেলে আমাদের অপকার হবে না উপকার হবে।

Leave a Comment