কাঁচা আমের কথা শুনলেই জ্বিহবায় জ্বল আসেনা এমন মানুষ কিন্তু পাওয়া যাবেনা। আম হল ফলের রাজা। কিন্তু আমরা কাঁচা আম থেকে পাকা আম খেতে বেশি পছন্দ করে থাকি।
কিন্তু আমাদের এটা জানাও জরুরি কাঁচা আম আমাদের শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজ আলোচনা হবে কাঁচা আম আমাদের জন্য কতটা উপকারি।
কাঁচা আমের উপকারিতাঃ
আমরা সাধারণত কাঁচা আম আচার হিসেবে খেয়ে থাকি এবং সেটাও বছরের অনেক মাঝামাঝি সময়ে। কিন্তু কাঁচা আমের যে পরিমাণ গুনাগুন রয়েছে তা যদি আমরা বিশদভাবে জানতে পারি তাহলে আমরা বুঝতে পারব কাঁচা আম আমাদের শরীরে কি পরিমান গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে।
শরীরে ভিটামিনের অভাব পূরণ করতে কাঁচা আমের গুরুত্বঃ
কাঁচা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ করতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা ছোটবেলা থেকেই শিখেছি। তাই ভিটামিন সি এর একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান হিসেবে আমরা কাঁচা আম কে আমদের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারি।
শরীরের হজম শক্তি বাড়াতে কাঁচা আমঃ
শরীরের হজম শক্তি বাড়াতে কাঁচা আম কিন্তু দারুণ ভাবে কাজ করে থাকে। শরীরের হাড়কে শক্ত রাখতে কাঁচা আমের জুড়ি মেলা ভার।
এর পাশাপাশি এসিডিটি দূর করতে কাঁচা আম ওষুধ হিসাবে খেতে পারি।
শরীরের বাড়তি মেদ কমিয়ে ফেলতে কাঁচা আমের ভুমিকাঃ
শরীরের বাড়তি মেদ কমিয়ে ফেলে শরীরকে ফিট রাখতে কাঁচা আম উল্লেখযোগ্যভাবে ভূমিকা পালন করে থাকে।
ডায়াবেটিস রোগীদের সুগার লেভেল ঠিক রাখতে কাঁচা আমঃ
ডায়াবেটিস রোগীরা কাঁচা আম খেতে পারে, এতে করে তাদের সুগার লেভেল ঠিক থাকে এবং ডায়াবেটিস অতিরিক্ত কমে যাওয়ার প্রবণতা রোধ হয়ে যায়।
নোটঃ প্রেশার আছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে কাঁচা আম কম খাওয়া ভালো।
লিভারের সমস্যা দূর করতে কাঁচা আমঃ
উপরের সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি কাঁচা আম কিন্তু আমাদের লিভারের সমস্যা দূর করতে দারুণ ভাবে কাজ করে থাকে।
আমাদের দাঁতের সমস্যা দূর করতে এবং দাঁতের মাড়ির গঠন ঠিক রাখতে কাঁচা আমের জুড়ি মেলা ভার।
মুখে খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করতে কাঁচা আম কিন্তু দারুণ ভাবে কাজ করে থাকে।
শরীর থেকে বাড়তি ফ্যাট কমিয়ে ফেলতে কাঁচা আমঃ
যারা শরীর থেকে বাড়তি ফ্যাট ঝরিয়ে ফেলতে চান তাদের উচিত কাঁচা আমের মৌসুমে পর্যাপ্ত পরিমাণে কাঁচা আম খাওয়া। কারণ কাঁচা আম বেশি পরিমাণে খেলে শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমে যায় এবং শরীর অনেক বেশি স্লিম হয়ে যায় এবং শরীর দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।
নোটঃ
অনেকে মনে করতে পারেন আম তো মৌসুমী ফল সারা বছর খাবেন কিভাবে? কাঁচা আমের মৌসুম চলে গেলেও আমরা কাঁচা আমের অল্টারনেটিভ হিসেবে কাঁচা আমের আচার সংগ্রহ করে রাখতে পারি। আর আজকের দিনে অনেক সিস্টেম দেখা যায় যেখানে কাঁচা আম বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় প্রিজারভেটিভ করে রাখা হচ্ছে।
তাই কাঁচা আম যেহেতু আমাদের শরীরের সৌন্দর্যকে ধরে রাখে, ত্বককে মসৃণ এবং শরীর স্লিম রাখে অতএব কাঁচা আম আমাদের খাবারের তালিকায় রাখাটা অযৌক্তিক হবেনা।
তাহলে বন্ধুরা, উপরের আলোচনা থেকে বুঝতে পারছেন, কাঁচা আম আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে কাঁচা আমের প্রয়োজনীয়তা।