ক্যান্সার একটি মরণব্যাধি রোগ। মরণব্যাধি ক্যান্সারের কথা শুনলে কপালে ভাঁজ পড়বে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
দেখা যায় যাদেরকে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত করেছে তারা অনেক কম আয়ু পান। আমাদের সবারই প্রত্যাশা থাকে এই মরণব্যাধি ক্যান্সারের হাত থেকে যেন আমরা রক্ষা পায়।
ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য আমাদের দরকার আমাদের এমন ভাবে জীবন যাপন করা যাতে আমাদের শরীরে ক্যান্সার রোগ বাসা বাঁধতে না পারে।
আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য অন্যান্য কাজগুলো করার সাথে সাথে আমাদের শরীরের রোগ ব্যাধি হওয়ার জন্য প্রদান যে কাজটি ভূমিকা রাখে সেটি হলো আমাদের খাদ্যাভ্যাস।
যার খাদ্যভ্যাস যত ভালো পরিকল্পিত এবং পরিমিত তার শরীরের রোগ ব্যাধির পরিমাণ তত কম। অর্থাৎ পরিকল্পিত খাবার গ্রহণের কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় যার ফলে সে শরীরে রোগ ব্যাধি বাসা বাঁধতে পারে না ।
তাই আমাদের উচিত ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি রোগ যেন আমাদের শরীরে বাসা বাধঁতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখা এবং আমাদের খাদ্য তালিকায় এমন কিছু খাবার রাখা যেগুলো খেলে আমাদের শরীরে ক্যান্সার হবার ঝুঁকি কমে যাবে ।
আজ আমি আপনাদের সাথে এমন কিছু খাবারের নাম শেয়ার করতে যাচ্ছি যে খাবারগুলো আপনারা আপনাদের খাদ্যতালিকায় রাখলে আপনাদের শরীরে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে।
চলুন দেখি নিই শরীরে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমানোর জন্য আমরা কোন কোন খাবার আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখবো ।
সবুজ শাকসবজিঃ
সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন মিনারেল এনজাইম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই প্রতিটি উপাদান শরীরে ক্যান্সার তৈরিতে বাধা প্রদান করেন। যেমন এটি শরীরে ক্যান্সারের নতুন কোষ সৃষ্টি বা কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করে এবং টিউমার জাতীয় কোষ বৃদ্ধিকে বাধা প্রদান করে। এছাড়াও এটি ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করার জন্য কাজ করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যদি আমরা প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি রাখি তাহলে আমাদের শরীরে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে এবং ক্যান্সার হওয়া প্রতিরোধ হবে।
আমাদের সবার উচিত আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজিতে জায়গা করে দেওয়া।
কপিঃ
ক্যান্সার দমনে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে ফাইটোকেমিক্যাল। কপি পরিবারের মধ্যে এই ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে অনেক বেশি । তাই নিজেদের খাদ্যতালিকায় যদি কপি জায়গা করে দেয়া যায় তাহলে আমাদের শরীরে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে । যেমন এ তালিকায় আমরা রাখতে পারি বাঁধাকপি , ফুলকপি , শালগম , ব্রকলি ইত্যাদি।
বেরিঃ
ক্যান্সার দমনে এবং প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো কাজ করে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার। আর বেরী পরিবারে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর সমাহার। তাই বেরি পরিবারকে নিজেদের খাদ্য তালিকায় জায়গা করে দেয় তারা ক্যান্সার হতে মুক্তিপাবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
বেরি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত খাবার গুলো হলো গোজীবেরি, ব্ল্যাক বেরি, ব্লু বেরি, রাস্পবেরি,স্ট্রবেরি, চেরি, মালবেরি ও কামু কামু সহ বেরি জাতীয় সকল ফল।
কমলা রঙের ফল ও সবজিঃ
উজ্জ্বল কমলা রঙের ফল ও সবজির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিটা ক্যারোটিন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে তাই বলা যায় উজ্জ্বল কমলা রঙের ফল ও সবজি আমাদের প্রতিরোধে সহায়তা করবে ।
অনেকে যদি ভেবে থাকেন কোন কোন ফলগুলোই উজ্জ্বল কমলা রঙের ফল ও সবজির মধ্যে পড়ে তাদের সুবিধার্থে বলে রাখছি এই গ্রুপের মধ্যে পড়ে কমলা, লেবু , মাল্টা, মিষ্টি কুমড়া , মিষ্টি আলু, জাম্বুরা , পেঁপে ।
মাংসঃ
যে কোন ধরনের মাংস গ্রহণ করলেই ক্যান্সারের কমে যাওয়ার ঝুঁকি কমে না । তাই আমরা যতটুকুই মাংস গ্রহণ করি না কেন আমাদেরকে অর্গানিক মাংস গ্রহণ করতে হবে । স্টেরয়েড হরমোন এবং এন্টিবায়োটিক দ্বারা যে সব পশু বা মুরগি পালিত হয় সেই সকল মুরগির গোশত এবংপশুর গোশত এই তালিকার মধ্যে পড়বে না ।
স্টেরয়েড হরমোন এবং এন্টিবায়োটিক ছাড়া যে সকল মুরগি পালিত হয় সেই সকল মুরগির কলিজা এবং তৃণভোজী গরুর মাংস আমাদের শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য কাজ করে । তাই আমরা আমাদের খাদ্য তালিকায় যেতুটুকু পরিমাণ মাংস কতটুকু পরিমান মাংস যেন অর্গানিক হয় আমাদের সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত ।
মাছঃ
শুধুমাত্র মাংস খেলেই হবে না আমাদের খাবারের তালিকায় মাছ কেউ রাখতে হবে এক্ষেত্রে তৈলাক্ত মাছ কে রাখতে পারলে খুব উপকার পাওয়া যায় । তৈলাক্ত মাছ এবং অন্যান্য মাছের মধ্যে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড যা আমাদের শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য কাজ করে । এটি একটি গবেষণা লব্ধ ফলাফল যে মাছের মধ্যে ওমেগা 3 ফ্যাটি এসিড রয়েছে যেটি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় । তাই আমাদের শরীর হতে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে আনার জন্য আমাদের খাদ্য তালিকায় মাছ রাখাও জরুরি।
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারঃ
প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়ার উৎস হল প্রক্রিয়াকরণ দুগ্ধজাত খাবার গুলো । যেমন এর মধ্যে পড়ে টক দই গরু ছাগলের দুধ এর পনির। এতে রয়েছে সালফার প্রোটিন এবংস্যাচুরেটেড ফ্যাট । এই উপাদানগুলো শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য কাজ করেন। এছাড়াও গরুর দুধ এবং ছাগলের দুধ প্রচুর পরিমাণে খাওয়া উচিত কারণ এর মধ্যে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি আছে এই ভিটামিনটি শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যার ফলে দেখা যায় শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় । আমাদের খাবারে সব সময় দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার গুলো রাখা জরুরি এগুলো আমাদের শরীরের অন্যান্য ক্যান্সার গুলোর সাথে সাথে ব্রেস্ট এবং ওভারিয়ানক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে আনে । তাই নারীদেরও নিজেদের বেস্ট এবং ওভারিয়ান ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সকালের খাবার খাওয়া খুব জরুরি।
অপরিশোধিত ভোজ্য তেলঃ
অপরিশোধিততিসির তেল , সরিষার তেল , নারকেল তেল এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে । তাই আমরা আমাদের খাবার তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা দরকার অপরিশোধিত ভোজ্য তেল। তবে আমরা যদি আমাদের খাবার অলিভ অয়েল দ্বারা তৈরি করতে পারি তাহলে অনেক বেশি ফলাফল পাওয়া যায় । কারণ অলিভ অয়েল বা জলপাই তেলের মধ্যে রয়েছে ফাইটো-নিউট্রিয়েন্টস যা আমাদের শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবারঃ
যেকোনো বাদাম এবং বিজি জাতীয় খাবার আমাদের শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে । এ খাদ্য তালিকায় আপনারা কাঠ বাদাম চিনাবাদাম কাজু বাদাম রাখতে পারেন । এই তিনটি বাদামের মধ্যে সবচেয়ে সাশ্রয়ী হচ্ছে চিনাবাদাম কিন্তু সবচেয়ে বেশি উপকারী চিনা বাদাম চিনাবাদাম এর মধ্যে ভিটামিন ই সবচেয়ে ভালো পাওয়া যায় ভিটামিন ই কল্যান যকৃৎ ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে তাই যারা অন্যান্য বাদাম নিজেদের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারবেন না তারা সকাল এবং বিকালের নাস্তায় চিনাবাদাম খাবেন ।
এছাড়াও বিভিন্ন বীজ জাতীয় খাবার যেমন মিষ্টি কুমড়ার বীজ, সূর্যমূখীর বীজ তিসি ইত্যাদি খেতে পারেন । এগুলো আমাদের শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।
এসব খাবার ছাড়াও আরো যেসব খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে খাদ্য তালিকায় রাখবেন ।
গ্রীন টিঃ
প্রতিদিন সকালে উঠে সবাই কম বেশি চা পান করে আবার অনেকেই কাজের ব্যস্ততার মধ্যে নিজেকে চাঙ্গা করে তোলার জন্য এক কাপ চায়ে চুমুক দেন। যাদের অভ্যাস রয়েছে তারা গ্রিন টি গ্রীন টিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ল এবং আধা চাই এর তুলনায় এটি শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী এটি গ্রিন টি আমাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে সাহায্য করে তাই। যাদের চায়ের কাপে চুমুক না দিয়ে ঘুম ভাঙ্গে না তারা আজ হতে নিজেদের ঘুম ভাঙাতে গ্রিন-টি কাপে চুমুক দিন ।এতে নিজেদের সুন্দর সকাল শুরু হবার সাথে সাথে ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমে যাবে ।
মাশরুমঃ
ব্যাঙের ছাতা হিসেবে সবার কাছে পরিচিত হলেও মাশরুম অতি উচ্চ পুষ্টিসম্পন্ন একটি খাবার। অনেক আগে থেকেই এর খাবারের প্রচলন হয়ে আসলেও দিন দিনে খাবারের পুষ্টিগুণ এর কারণে এটি নিজের জায়গা দখল করে নিয়েছে ডাইনিং টেবিলে । মাশরুম আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বাড়িয়ে তুলে ঠিক তেমনি আমাদের শরীরে এটি ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরে হতে ক্যানসারকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই যারা এখনও নিজেদের খাদ্যতালিকায় মাশরুমকে জায়গা করে দিতে পারেননি তারা আজ ওদের নিজেদের খাবারের তালিকায় মাশরুমকে জায়গা করে দিন এতে করে আপনারা অনেকগুলো পুষ্টি উপকারিতার পাওয়ার সাথে সাথে পেয়ে যাবেন নিজেদের শরীরে ক্যান্সার রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা।
মাশরুম তরকারি হিসেবে রান্না করা যায় , মাশরুম সুপ করা যায় এবং ভাজি করে খাওয়া যায়। যার যেভাবে পছন্দ মাসুমকে তৈরি করে খেতে পারেন । তবে কোনো কারণে মাশরুমকে নিজেদের খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিবেন না ।
টমেটোঃ
টমেটোর মধ্যে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং লাইকোপিন । অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রিরেডিকেল বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে । এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে ক্যান্সার হওয়া প্রতিরোধ করবে । তাই খাদ্য তালিকায় টমেটোকে জায়গা করে দিলে আমাদের শরীরে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে।
কলাঃ
প্রতিদিন একটি করে কলা খাওয়ার অভ্যাস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে শরীরের শক্তি বাড়িয়ে দিবে এবং আমাদের শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য ক্ষমতা তৈরি করবে। কারণ কলার মধ্যে থাকা উপাদানগুলো আমাদের শরীরে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে আনে ।
হলুদঃ
আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।
তাই আমরা যত বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাব ততই আমাদের শরীরে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে ।
হলুদ এমন একটি খাবার যেটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভরপুর। এছাড়াও হলুদে রয়েছে কারকিউমিন যেটি ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য শরীরের মধ্যে অনেক বেশি লড়াই করে।কারকিউমিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানবদেহের মধ্যে প্রবেশ করে একে ভেতর থেকে ক্যান্সারবিরোধী করে তোলে । তাই শরীরকে ক্যান্সারবিরোধী করার জন্য নিজেদের খাবারের তালিকায় হলুদকে রাখতে পারেন। কাঁচা হলুদ খেলে সব থেকে বেশি উপকার পাবেন । তবে যাদের কাঁচা হলুদ খাওয়ার অভ্যাস একেবারেই নেই তারা মাছ ও মাংস রান্না করার সময় বা তরকারিতে প্রয়োজনমতো হলুদ গুঁড়া ব্যবহার করে এর চাহিদা পূরণ করতে পারেন ।
শিমঃ
সিম আমাদের শরীরে ফাইবারের চাহিদা পূরণ করে। সিমের মধ্যে থাকা ফাইবার আমাদের শরীরে কোলোরেক্টাল ক্যানসার হওয়া প্রতিরোধ করে। তাই প্রতিদিন না পারলেও সপ্তাহে কয়েকটি শিম খাওয়া আমাদের জন্য জরুরী এটি আমাদের শরীরে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে আনবেন।
দারচিনিঃ
আমাদের শরীরে মূলত অনিয়ন্ত্রিতভাবে কোষ বৃদ্ধি হওয়ার তাই হচ্ছে ক্যান্সার। দারচিনি অনিয়ন্ত্রিতভাবে কোষ বৃদ্ধি ব্যাহত করে অর্থাৎ অনিয়ন্ত্রিত কোষ বৃদ্ধি কমিয়ে আনে ।
একটি টেস্টটিউব সমীক্ষায় দেখা গেছে দারচিনি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া কোষকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অত্যন্ত কার্যকর । এটি ক্যান্সার কোষের বিস্তার হ্রাস করে । মাথা ও ঘাড়ের ক্যান্সারকে কমানোর জন্য দারচিনি তৈল বিশেষ ভূমিকা রাখে । এটি উল্লেখযোগ্যভাবে টিউমারের আকার হ্রাস করে ।
টক জাতীয় ফলঃ
টক জাতীয় ফল ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা টকজাতীয় ফল খেয়েছেন এবং যারা খাইনি এ দুইয়ের মধ্যে যারা টকজাতীয় ফল খেয়েছেন তাদের শ্বাস নালীতে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কম ছিল ।
ডালিম বা আনারঃ
ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে ডালিম বা আনার অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল। এরমধ্যে পলিফেনল নামক এক ধরনের এলার্জিক এসিড রয়েছে যেটি ক্যান্সার প্রতিরোধে অনেক বেশি কাজ করে। আমাদের শরীরে যখন ক্যান্সার বৃদ্ধি পায় তখন এই ফলটি আমাদের শরীরকে ক্যানসারের কোষ বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে। তাই আমাদের শরীরকে ক্যান্সারের ঝুঁকি হতে মুক্ত করার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারি । এই ফলটি বিশেষ করে স্তন ক্যান্সার কমাতে সাহায্য করে । তাই নারীরা এই ফলটিকে নিজেদের খাদ্য তালিকা থেকে একেবারে বাদ দিবেন না ।
মরিচঃ
উপকারিতা না জানলেও আমরা রান্নার কাজে মরিচ ব্যবহার করে থাকি । মরিচ আমাদের শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য কাজ করেন। তাই যারা একেবারে মরিচ খেতে অভ্যস্ত নয় তারা খুব অল্প পরিমাণে হলেও মরিচ খাবেন । আপনার শরীরে ক্যান্সার হবার ঝুঁকি কমে যাবে ।
ড্রাগন ফলঃ
ড্রাগন ফলের উৎপত্তি ম্যাক্সিকোতে হলেও বাংলাদেশে এখনো চাষ হয় এবং এর চাহিদা রয়েছে ব্যাপক হারে।
ভিটামিন খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় এই ফলটির দাম একটু বেশি হলেও এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে এটি হজমে সহায়তা করে এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং এটি সর্বোপরি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
সহজলভ্যতা কিংবা দামের কারণে এখনো যারা ড্রাগন ফল খান নেই তারা আজ হতে খাদ্যতালিকায় ডাগন ফল কে নিয়ে আসুন। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোর সাথে সাথে আরো অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে এর। আপনারা অবশ্যই ড্রাগন ফলকে অবশ্যই খাদ্যতালিকায় রাখবেন।
বন্ধুরা আপনাদের সাথে আমি অনেকগুলো খাবার শেয়ার করলাম যে খাবারগুলো আমাদের শরীরের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিকে কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে । বন্ধুরা আপনারা আপনাদের দৈনন্দিন জীবনের যে খাদ্য তালিকা রয়েছে এবং খাবারের চাহিদা আমাদের শরীরে রয়েছে সে অনুযায়ী এই খাবারগুলোকে সুন্দর করে সাজিয়ে নিন । যাতে আমাদের শরীরে খাবারের চাহিদা পূরণ হয় এবং আমাদের শরীর রোগ মুক্ত থাকতে পারে ।