আপনারা কি জানেন বিট লবণ কি?????
বিট লবণ কে আবার সাদা লবণ বলে ভুল করছেন নাতো??????
বিট লবণ কি???
বিট লবণ হল এক প্রকার খনিজ পদার্থ। যা সরাসরি মাটির নিচ থেকে পাথর আকারে উত্তোলন করা হয় এবং এতে রয়েছে অনেক ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান।
ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন এই ধরনের হাজার ধরনের প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণে ভরপুর এই বিট লবণ।
আজকে এই বিট লবণের উপকারিতা নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি…..
বিট লবণের উপকারিতাঃ
এ বিট লবণ আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী এবং প্রতিদিন কি পরিমাণ এই বিট লবণ খাওয়া উচিত সে বিষয়ে আমাদের হয়তো অনেকের ধারনা নেই।
মশলা হিসাবে বিট লবণের ব্যবহারঃ
আমাদের দেশে বিট লবণ সাধারণত মসলা হিসেবে বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। খাবারের স্বাদে নতুনত্ব আনতে বিট লবণ কার্যকরীভাবে ভূমিকা রাখে।
শরীর থেকে বাড়তি ওজন কমাতে বিট লবণের উপকারিতাঃ
শরীর থেকে বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলে শরীরকে সুন্দর সুদর্শন দেখাতে বিট লবণ দারুণভাবে কাজ করে থাকে।
তাছাড়াও বিট লবণ খেলে আমাদের শরীরের উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। সাদা লবণ যেখানে আমাদের রক্তচাপকে বাড়িয়ে দেয় সেখানে বিট লবণ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
পেটের জ্বালাপোড়া ও গ্যাসের সমস্যা সমাধানে বিট লবণের কাজঃ
পেটের জ্বালাপোড়া ও গ্যাসের সমস্যা এবং আলসারের মতো সমস্যা দূর করতে বিট লবণ কাজ করে।
তা ছাড়াও যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রয়েছে তারা কিন্তু বিট লবণ খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন নিয়মিতভাবে এবং এতে করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
রাতে একটানা ঘুমের জন্য বিট লবণের গুরুত্বঃ
যাদের রাতে ঘুমাতে সমস্যা হয় অর্থাৎ রাতে একটানা যাদের ঘুম হয় না, কিছুক্ষন ঘুমানোর পর ঘুম ভেঙে যায়। এই ধরনের সমস্যা যাদের হয় তাদের অবশ্যই বিট লবণ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কারণ ঘুমের সমস্যার কারনে আমাদের মেলাটোনিনের ভারসাম্যের তারতম্য যখন হয় তখনই এই সমস্যাগুলো দেখা যায়।
আর বিট লবণ খাওয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের শরীরের মেলাটোনিনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকে তাই ঘুমের সমস্যা দূর হয়ে যায়।
গলা ব্যাথা, থাইরয়েডের সমস্যা, টনসিলের সমস্যায় বিট লবণঃ
যাদের খুব বেশি ঠান্ডা লাগে অথবা ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে যাদের গলা ব্যাথা, থাইরয়েডের সমস্যা, টনসিল যাদের বেড়ে যায় তারা কিন্তু গরম পানির সাথে সামান্য পরিমাণ বিট লবণ মিশিয়ে গলগলা করতে পারেন। এতে আপনাদের সব ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
কর্মশক্তি ফিরিয়ে আনতে বিট লবণের উপকারিতাঃ
সারাদিনের কর্মব্যস্ততায় আমাদের শরীর যখন ঝিমিয়ে পড়ে, যখন সেল গুলো একেবারে নির্জীব হয়ে যায়, নতুনভাবে কাজ করার কোন উদ্দীপনা ফিরে পায় না। তখন একগ্লাস পানিতে সামান্য পরিমাণ লেবুর রসের সাথে এক টেবিল চামচ বিট লবণ মিশ্রিত করে আমরা যদি পান করি, তাহলে আমাদের শরীরে পুনরায় ফিরে আসে কর্মশক্তি।
রূপচর্চার ক্ষেত্রে বিট লবণঃ
বিট লবণ রূপচর্চার ক্ষেত্রে কিন্তু দারুণভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে এর জনপ্রিয়তা যেন দিন দিন বেড়েই চলছে।
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি সরাসরি আমাদের চামড়ার উপর পড়ার কারণে ত্বকে কালচে ভাব চলে আসে। অথবা চামড়া কুঁচকে যায়, এই সমস্যা থেকে সমাধান পেতে আমরা বিট লবণের স্ক্রাবার ব্যবহার করতে পারি। এতে করে আমাদের ত্বকের পোড়া ভাব দূর হয়ে যাবে। বয়সের ছাপ দূর হয়ে যাবে। কোন বলিরেখা দাগ থাকলে তাও চলে যাবে। সর্বোপরি বলতে গেলে ত্বকের যত্নে দারুন উপযোগী এই বিট লবণ।
তাহলে বন্ধুরা আপনারা বুঝতেই পারছেন বিট লবণ কতটুকু আমাদের শরীরের জন্য উপকার।
তাই আমাদের উচিত আমাদের খাদ্য তালিকায় অবশ্য বিট লবণ অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া। কারণ বিট লবণ আমাদের শরীরের জন্য যেমন উপযোগী তেমন খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও কিন্তু এর তুলনা নেই।