আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব পাকা তেঁতুলের উপকারিতা নিয়ে। তেঁতুল সাধারণত একটি ভেষজ উদ্ভিদ। তেঁতুলের গাছ বলতে গেলে পুরোটাই আমাদের অনেক উপকারে আসে। আজ আমরা শুধু পাকা তেতুল বা পুরাতন তেতুলের উপকারিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
পাকা তেঁতুল বা পুরাতন তেঁতুলের উপকারিতাঃ
পুরাতন তেঁতুল কাশি সারাতে অনেক বেশি কার্যকরী। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে বিভিন্ন ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ বা ধুলাবালির কারণে যাদের শুকনো কাশি লেগে থাকে, এ ধরনের সমস্যা দূর করতে পুরাতন তেঁতুল কিন্তু অনেক বেশি কার্যকরী।
পুরাতন তেঁতুল পানিতে গুলিয়ে ভালো মতো করে সামান্য একটু লবণ মিশিয়ে যদি আমরা খেতে পারি তাহলে এটি আমাদের শুকনো কাশি এক নিমেষে দূর করে দিবে।
শরীরকে স্লীম ও সুন্দর করে দেখাতে পাকা তেঁতুলের উপকারিতাঃ
শরীরের বাড়তি মেদ কমিয়ে ফেলে শরীরকে স্লীম ও সুন্দর করে দেখাতে পুরাতন তেতুলের জুড়ি মেলা ভার। তাই আমাদের শরীরকে সুন্দর সুদর্শন এবং ফ্যাটহীন রাখতে গেলে ও আমাদের অবশ্যই তেঁতুল খেতে হবে। এক গ্লাস জল এর সাথে তেঁতুলকে ঘুলিয়ে তারপরে খাওয়া উচিত।
গরমের দিনে তেঁতুলের শরবত যেন অমৃতঃ
গরমের দিনে পুরাতন তেতুলের তৈরি করা শরবত কিন্তু খুব বেশি কার্যকরী। কারণ প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ পুরাতন তেঁতুলে থাকে। এর সাথে সাথে আরও বেশি ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ থাকে। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে।
কিন্তু গরমের দিনে এই তেঁতুলের শরবত আমাদের শরীর থেকে চলে যাওয়া খনিজ পদার্থ কে বাঁচিয়ে রাখে এবং খনিজ পদার্থের ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি জলের অভাব পূরণ করে থাকে। কারণ পাকা বা পুরাতন তেঁতুল জল ছাড়া গুলিয়ে খাওয়া সম্ভব না।
কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর করতে পুরাতন তেঁতুলের উপকারিতাঃ
পেট পরিষ্কার করতে বা যাদের পেটে কোষ্ঠকাঠিন্য মতো সমস্যা দেখা যায়, তারা কিন্তু তেঁতুল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। আর ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি একটি মহা প্রতিষেধক।
পুরাতন তেঁতুল রক্তে কোলেস্টরলের পরিমাণ কে নিয়ন্ত্রণে রেখে রক্তের প্রবাহ কে খুব বেশি ভালো রাখতে প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত পক্ষে একটি তেঁতুল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কারণ এটি শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী।
পুরাতন তেঁতুল খাবারে রুচি বাড়ায়। দাঁতের গোড়া শক্ত করে মাড়িকে মজবুত রাখে। এর সাথে সাথে আমাদের হার্টকেও ভালো রাখে।
পুরাতন তেঁতুল পাইলসের সমস্যা সমাধানে কাজ করেঃ
পুরাতন তেঁতুল কিন্তু যাদের পাইলসের সমস্যা রয়েছে অথবা ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কৃমির সমস্যায় যারা ভোগেন, একমাস পর পরই যাদেরকে কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হয়, এই ধরনের অবস্থা যাদের তারা কিন্তু খুব সহজে সেই সমস্যা থেকে সমাধান পেতে পারেন যদি রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস ঠান্ডা জলের সাথে পরিমাণমতো পাকা বা পুরাতন তেতুল গুলিয়ে রাখা যায়।
আয়রনের ঘাটতি পূরণে পুরাতন তেঁতুলের উপকারিতাঃ
পুরাতন তেঁতুলের প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে আর আয়রনের ঘাটতি কারণে আমাদের শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। আর রক্তশূন্যতা দূর করতে, আয়রনের অভাব পূরণ করতে আমরা চাইলে খাদ্য টেবিলে খুব সহজে পুরাতন তেঁতুলের সংরক্ষণ করতে পারি।
নোটঃ
তেঁতুল সবসময় ভরা পেটে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। খালি পেটে তেঁতুল খাওয়া ভালো নয়।
তাহলে আমরা আশা করব পুরাতন তেঁতুল আপনারা সংরক্ষণ করে উপকৃত হবেন।