তুলসির গাছ বা পাতার উপকারিতা নিয়ে সেই প্রাচীন কাল থেকে আমরা শুনে আসতেছি। সনাতন ধর্মের লোকেরা তুলসি গাছ কে পবিত্র বলে মানে।
আজ এই চমৎকার তুলসি গাছের পাতার উপকারিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি,
আপনারা যদি আজকের লিখাটি শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি আজকেই আপনারা একটি তুলসি গাছ কিনে এনে আপনাদের বাড়ির আঙ্গিনায় রাখতে ভুল করবেন না।
তুলসি পাতার উপকারিতাঃ
তুলসী একটি ভেষজ উদ্ভিদ এবং চিকিৎসা পদ্ধতিতে এটি অনেক প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
আজকে এই তুলসী পাতার আরো বিস্তারিত ব্যবহার ও ব্যাপকভাবে এর উপকারিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
ঠান্ডা এবং জ্বর সারাতে তুলসি পাতার উপকারিতাঃ
ঠান্ডা এবং জ্বর সারাতে প্রাচীনকাল থেকে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে তুলসীপাতা ব্যবহৃত হয়ে আসতেছে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে তুলসী পাতার উপকারিতাঃ
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে তুলসী পাতার জুড়ি নেই। কারণ তুলসি পাতার রস আমাদের রক্তের সুগার লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা সাধারণত সকালবেলায় ২টেবিল-চামচ তুলসী পাতার রস খালি পেটে যদি খায়, এতে করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে তুলসী পাতাঃ
শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে তুলসী পাতা কিন্তু আরও বেশি কার্যকরী। যাদের শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে ফ্যাট জমে যায়, শরীরের স্থূলতা বেড়ে যায়, তাদের উচিত তাদের ডায়েট চার্টে তুলসী পাতা রাখা।
তুলসী পাতার রস আদার সাথে মিশ্রিত করে যদি প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা সম্ভব হয়, তাহলে শরীরের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলে শরীরকে অনেক সুন্দর ও স্মার্ট দেখানো যায়।
পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানে তুলসীপাতাঃ
পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানে তুলসীপাতার কিন্তু জুড়ি নেই। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে শুরু করে পেট ব্যাথা, অম্বল গ্যাস এ ধরনের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে তুলসীপাতা কিন্তু দারুণ টোটকা হিসাবে কাজ করে।
সাধারণত লং এলাচ এবং মধুর সাথে যদি আমরা তুলসীপাতার রস মিশ্রিত করে খেতে পারি তাহলে পেটের সমস্যা খুব সহজে সমাধান হয়ে যায়।
শরীরের ব্লাড সার্কুলেশন সঠিক রাখতে তুলসি পাতাঃ
প্রতিদিন তুলসী পাতার রস খেলে আমাদের শরীরের ব্লাড সার্কুলেশন ভালো থাকে। ব্লাড সার্কুলেশন মানে রক্ত চলাচল। আর রক্তের চলাচল যত বেশি ভাল হবে আমাদের হার্ট ততবেশি সুস্থ থাকবে। কারণ হাটের অসুস্থতা শুরু হয় রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটানোর মধ্য দিয়ে।
ভালোভাবে বলা যায় হার্টের সমস্যা সমাধান করতে তুলসী পাতার রস প্রতিদিন গ্রহণ করা উচিত।
ক্যান্সার ও টিউমার সারাতে তুলসি পাতার রসঃ
ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য রোগ এবং টিউমারের মতো সমস্যার ক্ষেত্রে তুলসীপাতা দারুন কাজ করে।
আমাদের শরীরে যে সকল টিউমার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পরে এবং এর থেকে পরবর্তীতে ক্যান্সার আমাদের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে, এ ধরনের সমস্যার প্রতিরোধে কিন্তু দারুণভাবে তুলসীপাতা কাজ করে। আমরা যদি তুলসীপাতা প্রতিদিন নিয়ম মেনে খায় তাহলে আমাদের শরীরে টিউমার এর সমস্যা দূর হয়ে যাবে যা পরবর্তী ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি সৃষ্টিতে বাধা দেবে।
তুলসী পাতা এমন একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না।
তারপরেও বন্ধুরা আমাদের স্বল্প মস্তিষ্কে যতটুকু সম্ভব তার মধ্য দিয়ে তুলসী পাতার উপকারিতা আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করব এর উপকারিতা গুলো ভালো মত খেয়াল করে দৈনিন্দিন জীবনে এর উপকারিতা গুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।